এস.এম সাইয়্যেদুর রহমান ॥ বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিচারকের আদেশ ছাড়াই তার পক্ষে নোটিশ জারি করে বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পুলিশের আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট মামলার ১০ বিবাদিকে নোটিশ পাঠান বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম। বুধবার ১৮ অক্টোবর বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলামের অপকর্ম ধরা পরে। এসময় তিনি নিজের অপরাধের কথা অকপটে শিকার করেন। এহেন অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে আদালত কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে আদালতের একটি সুত্র। উল্লেখ্য, বে-আইনিভাবে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগে গত ৫ অক্টোবর বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি দায়ের করেন বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনেষ্টেবল জসিম উদ্দিন। কন্টেবল নং ৮০৯। মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি), বরিশাল রেঞ্জ ডিআইডি, আরআরএফ’র কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার), আরআই, রেশন স্টোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পোশাক ভান্ডারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আরআরএফ অফিসের প্রধান সহকারী ও হিসাব রক্ষককে বিবাদি করা হয়। মামলাটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলাটি গ্রহনের বিষয়ে শুনানীর জন্য আগামি ১ নভেম্বর দিন ধার্য্য রাখেন। কিন্তু মামলা গ্রহন বিষয়ক শুনানীর অপেক্ষা না করে জবাব দেয়ার জন্য নোটিশ জারি করে দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম। গত ১১ অক্টোবর বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ মামলার ১০ বিবাদির কাছে ডাক যোগে পাঠানো হয়। মামলার সকল বিবাদীরা সাইফুল ইসলামের নোটিশ পেয়েছেন বলেও জানযায়। যা আইনজীবীর মাধ্যেমে জানতে পারে বরিশাল আদালত পাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। গত ১৫ অক্টোবর এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা ফলাউ করে সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি নজরে পরে বরিশালের বিচার বিভাগে। এসময় প্রকাশিত সংবাদ পরে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন জানতে পারেন, মামলা গ্রহনের আগেই বিবাদিদের কাছে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি। এনিয়ে আদালত পাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা প্রাথমিক ভাবে বিপাকে পরলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জানাযায়, বিবাদীদেরকে যে জাবার দেয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা সত্যি নয়। বিচারকের আদেশ না থাকা সত্বেও নিজ সিদ্ধান্তে বিবাদীদের কাছে নোটিশ জারি করে আদালতের বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম। যা বুধবার বরিশালের ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্ত দাস’র কাছে ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের একটি সুত্র। আদালতে দাখিলকৃত নালিশি মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কনেষ্টেবল পদে চাকুরি হয় জসিম উদ্দিনের। এরপর গত ১৮ মে তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়। কোন রকম কারন দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে সরাসরি বরখাস্ত করায় ওই বরখাস্তের আদেশের উপর বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজিকে বিবাদী করে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি আপিল দায়ের করে জসিম উদ্দিন। ওই আপিলের ৪ মাস কেটে গেলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply